শোয়েব চৌধুরী ও সুশান্ত দাশগুপ্ত সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ২৫০ কোটি টাকার মানহানি'র মামলা

Published On Jun 23, 2021

কোটি টাকার 'মানহানি'র মামলা!

দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক সুশান্ত দাশগুপ্ত ও শোয়েব চৌধুরীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ২৫০ কোটি টাকার মানহানির ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের হয়েছে। সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এর ব্যক্তিগত সহকারী সুদীপ দাশ গং বাদী হয়ে গত ২৯ এপ্রিল হবিগঞ্জের যুগ্ম জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।

আদালত দেওয়ানী মামলাটি আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে সমনের আদেশ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামীদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

মামলার আইনজীবী জানান, সুশান্ত দাশগুপ্ত ও শোয়েব চৌধুরীসহ ১৪ জন আসামী পরস্পর অন্যায় যোগাযোগে থেকে ১নং বিবাদীর সম্পাদনায় দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে বাদীদের বিরুদ্ধে মারাত্মকভাবে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কুরুচিপূর্ণ, মানহানীকর সংবাদ প্রকাশ করায় তাদের ২৫০ কোটি টাকার মানহানী হয়েছে।

মামলার অন্য আসামীরা হলেনÑ বানিয়াচং উপজেলার পাঠানটুলা গ্রামের রায়হান উদ্দিন সুমন, সদর উপজেলার মশাজান গ্রামের তারেক হাবিব, চিড়াকান্দি এলাকার নুরুজ্জামান মানিক, সুনারু গ্রামের সুমন্ত্র দাশ, একই এলাকার উজ্জ্বল দাশ চিনু, শুভ দাশ, রাসু দাশ, সুমন দাশ হরি, বানিয়াচং উপজেলার দড়ওয়া গ্রামের গৌতম দাশ মানিক, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা এমএ রাজা, সদর উপজেলার দড়িয়াপুর গ্রামের শাহনুর বখত চৌধুরী ঝলক ও লাখাই উপজেলার বামৈ পশ্চিম গ্রামের হারুনুর রশিদ হারুন।

এর আগে দৈনিক আমার হবিগঞ্জের অনুমতি নেয়ার সময় অস্তিতহীন ছাপাখানার নাম ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে সুশান্ত দাশগুপ্ত ও শোয়েব চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এছাড়া সুশান্ত দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারকের আদেশে আদালতের নাজির ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এর পূর্বে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহির বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় সুশান্ত দাশগুপ্তসহ তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিন পেয়েছেন।

এদিকে হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার ও দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস পত্রিকা দুটিতে স্টাফ রিপোর্টারের বরাত দিয়ে হুবহু একই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যাতে বাদী সুদীপ দাশের নাম প্রকাশিত হলেও অন্যান্য বাদীদের নাম প্রকাশ করা হয় নাই। এতে জনমনে তীব্র কৌতুহলের জন্ম হয়েছে। তাছাড়া টাকার পরিমাণ মানিগুণীদের মান'এর উচ্চতা নিশ্চিত করেছে!