ইউরোপে যুদ্ধ চান না পুতিন

Published On Feb 16, 2022

ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা এসেছে রাশিয়ার পক্ষ থেকে। এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপে যুদ্ধ চান না তিনি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলত্জের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি। খবর বিবিসির।

ইউক্রেনকে ঘিরে রাশিয়ার ব্যাপক সেনা মোতায়েনের জেরে ইউরোপে উত্তেজনা চরমে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করে আসছিল, ইউক্রেনে হামলা চালাতেই রাশিয়ার এই তৎপরতা। তবে প্রথম থেকেই এসব দাবি নাকচ করেছে মস্কো।

এদিকে চলমান সংকট সমাধানে দফায় দফায় নানা পক্ষের মধ্যে বৈঠক চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইউক্রেন সফরের পর রাশিয়া যান জার্মান চ্যান্সেলর। সেখানে তিনি পুতিনের সঙ্গে চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকেরা যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে পুতিনের কাছে প্রশ্ন করেন।

জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা কি এটা (যুদ্ধ) চাই, নাকি চাই না? অবশ্যই না। ঠিক এ কারণেই আলোচনা প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তাব এনেছি।’ এ সময় পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো রাশিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগগুলো সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন পুতিন।

ইউক্রেনকে ঘিরে রাশিয়ার সেনা সমাবেশের কারণ মূলত ন্যাটো। ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়েছে কিয়েভ। তবে মস্কো মনে করে, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হলে তা হবে রাশিয়ার জন্য চরম হুমকির।

জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা কি এটা (যুদ্ধ) চাই, নাকি চাই না? অবশ্যই না। ঠিক এ কারণেই আলোচনা প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তাব এনেছি।’ এ সময় পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো রাশিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগগুলো সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন পুতিন।

ইউক্রেনকে ঘিরে রাশিয়ার সেনা সমাবেশের কারণ মূলত ন্যাটো। ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়েছে কিয়েভ। তবে মস্কো মনে করে, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হলে তা হবে রাশিয়ার জন্য চরম হুমকির।

মঙ্গলবার বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পুতিন দাবি করেন, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়টি এখনই সুরাহা করা উচিত। তবে পুতিনের এমন দাবির আগেই অবশ্য রাশিয়াকে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্র নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ভাদিম প্রাইস্তাইকো গত সোমবার বলেন, মস্কোর সঙ্গে যুদ্ধ এড়াতে প্রয়োজনে ন্যাটোতে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকবে কিয়েভ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওলাফ শলত্জও। রাশিয়ার সামরিক তত্পরতাকে হুমকি হিসেবেই দেখছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। শলত্জ বলেন, ‘অবশ্যই আমরা খুব উদ্বিগ্ন। ইউক্রেনের সীমান্তে ১ লাখের বেশি রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আর আমাদের কাছে বিষয়টি বোধগম্য নয়।’

এর আগে মঙ্গলবারেই ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ-ও বলা হয়, পুরো রাশিয়ায় যে সামরিক তৎপরতা চলছিল, তা অব্যাহত থাকবে।

সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে এসেছি, মহড়া শেষ হলে সেনারা ঘাঁটিতে ফিরে যাবেন। এটি নতুন কিছু নয়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’

রাশিয়ার পক্ষ থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা এলেও সন্তুষ্ট না পশ্চিমারা। তারা বলছে, উত্তেজনা হ্রাসের মতো এখনো কিছুই দেখছে না তারা। তবে আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া।