ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার তীব্র উত্তেজনা
Published On Dec 02, 2021
রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তবে দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৃহস্পতিবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ব্লিঙ্কেন বলেন, ইউক্রেন আক্রমণ করলে গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে রাশিয়াকে।
এদিকে এএফপি জানায়, ইউরোপে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার (ওএসসিই) এক বৈঠকে লাভরভ সামরিক জোট ন্যাটোকে তার সামরিক অবকাঠামো রাশিয়ান সীমান্তের কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। এ ছাড়া মস্কোর প্রাসঙ্গিক প্রস্তাব গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। লাভরভ বলেন, মস্কো শিগগিরই রাশিয়ার সীমান্তে ন্যাটোর অবকাঠামো বৃদ্ধি ঠেকাতে প্রস্তাব উপস্থাপন করবে।বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গতকাল সতর্ক করে বলেছেন, ইউরোপে একটি সামরিক সংঘর্ষের দুঃস্বপ্নের দৃশ্য ফিরে আসছে।
লাভরভের সঙ্গে বৈঠকের এক দিন আগে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘রাশিয়ান হামলার কঠোর নিষেধাজ্ঞাসহ ওয়াশিংটন দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত। সংকট এড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে কূটনীতি। সের্গেইয়ের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।’ তিনি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে ২০১৪ সালের মিনস্ক চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানান। রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইউক্রেন সরকারের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে এ চুক্তি করা হয়েছিল।
ব্লিঙ্কেন বলেন, শান্তি চুক্তিতে সমর্থন চালিয়ে যাবে ওয়াশিংটন। কিন্তু রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তবে তার ফল হবে ভয়াবহ। লাভরভ মস্কোতে গণমাধ্যমকে বলেছেন, কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত মস্কো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কারও সঙ্গে সংঘর্ষে যেতে চান না।
ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। কিয়েভ অভিযোগ তুলেছে, সীমান্তে ৯০ হাজারের বেশি সেনা জড়ো করেছে মস্কো।
এদিকে মস্কোর পক্ষ থেকেও পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য সেনা জড়ো করার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ন্যাটো যদি ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করে, তবে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে মস্কো।