হবিগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু ॥ শনাক্তের হার ২৮.৫%

Published On Jul 06, 2021

কোন মতেই যেন দেশে থামছে না করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ভারতীয় ডেল্টা ধরণ দেশে প্রবেশের পর থেকেই সংক্রমনের উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটা সময় শহর কেন্দ্রীক, সীমান্তবর্তী এলাকা কেন্দ্রীক করোনা সংক্রমনের উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেলেও এবার গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি করোনা। ফলে দিন দিন হবিগঞ্জেও ভয়াবহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। যদিও করোনার কোন চিকিৎসা নেই বললেই চলে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে। নামে মাত্র রয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। যেখানে পড়ে রয়েছে শুধু কিছু বেড আর বিছানা। এমনি করোনায় উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের জন্য আলাদা ডাক্তার, নার্স ও ইমার্জেন্সী বিভাগ রাখা হলেও কাজের কাজ নেই কিছুই। হাসপাতালে পুরাতন ভবনের ইমার্জেন্সী ওয়ার্ডেই প্রাথমিক সেবা নিতে দেখা গেছে বেশ কিছু করোনা উপসর্গ রোগীকে। ফলে সাধারণ রোগীদের মধ্যেও করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে চিকিৎসা না দিয়ে রেফার্ড দিয়ে দেয়া হয় সিলেটে। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। রোগীদের অভিযোগ, হবিগঞ্জ জেলা সদরের মত একটি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্তদের জন্য নেই নূন্যতম কোন সুযোগ সুবিধা। আইসিইউ, সিসিইউ তো দূরের কথা মূমুর্ষ রোগীদের জন্য নেই ভ্যান্টিলেটরসহ অক্সিজেন সরবরাহের কোন ব্যবস্থা। তাই হবিগঞ্জের সাধারণ মানুষের দাবী অচিরেই যেন বিষয়টির দিখে নজর দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তা না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

অপরদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আব্দুল হামিদ খান (৬৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের চাদের হাসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। মৃত আব্দুল হামিদ খান সদর উপজেলার সুরাবই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি তার পরিবার নিয়ে শহরের সার্কিট হাউজ রোড এলাকায় বসবাস করতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুখলেছুর রহমান উজ্বল জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ৩০ জুন আব্দুল হামিদ খান নামে ওই ব্যক্তি নমুনা দেন। ২ জুলাই নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পর থেকেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ডেপুটি সিভিল সার্জন আরো জানান, গতকাল রাতে আসা রিপোর্টে নতুন করে আরো ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ১০ জন, চুনারুঘাট ৬ জন, নবীগঞ্জ ৫ জন, বানিয়াচং ৫ জন ও বাহুবলে ২ জন। জেলায় পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২৯২০ জন, সুস্থ ২১১৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। শনাক্তের হার ২৮.৫%।

সৌজন্যেঃ জাকারিয়া চৌধুরী, দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার