হবিগঞ্জ শহরতলীর বহুলায় শ্বাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ

Published On Oct 07, 2021

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামে শাশুড়ি সফর চাঁন (৯০) কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। তবে এটি আসলেই হত্যাকান্ড নাকি দূর্ঘটনা তা এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। পুলিশ বলছে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর ঘটনার মূল কারণ জানা যাবে। যদিও এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুত্রবধূ নাজমা আক্তার নাজুকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত বৃদ্ধা ওই গ্রামের

মৃত মহরম আলীর স্ত্রী।

জানা যায়, সফর চাঁনের পুত্র কদর আলী (৫০) শহরের ২নং পুল এলাকায় চায়ের দোকান দিয়ে বৃদ্ধা মা ও বউ সন্তান নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ৪ মাস আগে কদর আলীর প্রথম স্ত্রী মারা যায়। এরপর নাজমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে আসেন। স্থানীয়রা জানান, সফর চাঁন বিবি বয়সের কারণে মানসিক রোগে ভোগছেন। প্রায়ই খাবার নিয়ে নাজমার সাথে তার ঝগড়া হতো। বারবার নাজমার কাছে খাবার চাওয়ার কারণে সফর চাঁনকে সে মারধোর করতো। কিন্তু পুত্র কদর আলী তা জেনে স্ত্রীকে শাসন করলে কিছুদিন ভালো যেতো। আবার পুরোনো রূপেই ফিরে যেতো নাজমা। গত সোমবার বেলা ১টার দিকে নাজমা লতা ও চিংড়ি মাছ রান্না করে। এ সময় নিহত সফর চাঁন তার কাছে খাবার চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধোর করে। এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে পালংয়ের উপর ফেলে দেয়। এতে তার হাতে পিটে জখম হয়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কিছুটা সুস্থ হলে তাকে গত মঙ্গলবার রাতে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল বুধবার ভোর রাতে ক্ষুধার যন্ত্রণায় ছটফট করে নাজমার কাছে খাবার চাইলে নাজমা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে বৃদ্ধাকে আবারও মারধোর করলে সফর চাঁন মারা যান। নাজমা অষ্টগ্রামের আব্দুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা। (ওসি) অপারেশন নাজমুল হাসান কামাল জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে। নাজমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।