বাহুবলে ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানির অভিযোগ \ প্রধান শিক্ষক আত্মগোপনে

Published On Dec 04, 2021

বাহুবলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদ মিটিংও করেছে। পরের মিটিংয়ের তারিখের আগেই প্রধান শিক্ষক এক সপ্তাহের ছুঠিতে গিয়ে নিজেকে আঁড়াল করার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র বনিক উপজেলার
বড়গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। তিনি মিরপুর ইউনিয়নের বানিয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র বনিক দীর্ঘদিন ধরে কোমলমতি ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক কাজের অপরাধ করে আসছেন। এ বিষয়ে অভিভাবকরা তাকে শাসিয়ে দেন। তাতেও তার চরিত্রের পরিবর্তন করতে পারেন নি। একপর্যায়ে গত ২৭ নভেম্বর বিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রীর অভিভাবক ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটি গত ২৯ নভেম্বর জরুরী মিটিংয়ে বসে। ওইদিন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে পরবর্তী মিটিংয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১ ডিসেম্বর। কিন্তু এর আগেই ৭ দিনের ছুটি নিয়ে গা ঢাকা দেন প্রধান শিক্ষক । এর পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, তিনি দ্বিমুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ছাত্রীদের সাথে যৌন হয়রানি করার কারনে এলাকাকাসী তাকে এলাকা ছাড়া করেন। পরে অলিপুর স্কুল থেকেও একই অভিযোগে তাকে বের করে দেয়া হয়। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাকে সহযোগিতা করছে একই বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষিকা।
বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষককে সতর্ক করেছি। তিনি আমাদের কথা শোনেন নি। তার আচরণে আমার মেয়ে স্কুলে যেতে চায় না। সে তাদের সাথে সব সময় অস্বাভাবিক আচরণ করে।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা ওই শিক্ষককে স্কুলে চাচ্ছি না।’ বাহুবল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘তিনি নৈমিত্তিক ছুটিতে আছেন।’ অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান তিনি। বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমা বলেন, ‘সরাসরি কেউ আমাকে অভিযোগ করেনি।’